বাদ পড়েছে ২৮ নভেম্বরের ট্রাক হামলার তথ্য

গত ৯ মাসে (জুলাই ২০২৪–এপ্রিল ২০২৫) আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের ওপর ৩৬টি হামলার তথ্য উঠে এসেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক, মিডিয়া গবেষণা ও বিশ্লেষণী উইং ‘বাংলাফ্যাক্ট’-এর সাম্প্রতিক গবেষণায়।
রোববার (৪ মে) প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার সর্বোচ্চ সংখ্যক ঘটনার পেছনে অভিযোগ উঠেছে সাবেক শাসকদল আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে—১৩টি ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধে ৯টি এবং অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত বা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ৯টি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে।
তবে আলোচিত একটি হামলার ঘটনা গবেষণা রিপোর্টে স্থান পায়নি। ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৎকালীন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ির ওপর ট্রাকচাপা দিয়ে হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফেরার পথে মাতুয়াইলে ও পরে গুলিস্তানে এ হামলা হয় বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার প্যাটার্ন ও সময়সূত্র থেকে এটি ‘পরিকল্পিত হামলা’ বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন হাসনাত।
বাংলাফ্যাক্টের গবেষণায় বলা হয়, ৩৬টি হামলার মধ্যে ৩৩টি আন্দোলনকারীদের এবং ৩টি নিহত আন্দোলনকারীদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাত, মারধর, কবর ভাঙচুর, ধর্ষণ এবং আত্মহত্যা প্ররোচনার মতো ঘটনা।
গবেষণায় উঠে আসা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হামলার তথ্য-
- ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মোবারক হোসেন অভিকে কুপিয়ে জখম (২১ ডিসেম্বর, ২০২৪)
- কেরানীগঞ্জে শহীদ সায়েম ও ফয়জুল ইসলাম রাজনের কবর ভাঙচুর
- নিহত আন্দোলনকারী জসিম হাওলাদারের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা (১৮–২৬ এপ্রিল, ২০২৫)
- খুলনা, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে আন্দোলন সংশ্লিষ্ট নেতাদের ওপর হামলা
বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, কিছু হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলেও পারিপার্শ্বিকতা বলছে, এগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। তবে তথ্যসংগ্রহের সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু ঘটনা এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।