শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ১০ জুলাই ২০২৫

সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার প্রতিবাদ

সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার প্রতিবাদ
সংগৃহীত

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্কার কার্যক্রম প্রায় শেষ করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের তিন সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, উষাতন তালুকদার, নির্মল রোজারিও ও ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার যুগ্ম সমন্বয়ক মনীন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।

 

এতে বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করেছে এবং তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আশা করেছিল যে, সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান বৈষম্য ও নিপীড়নগুলো চিহ্নিত করে তা অবসানের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপের সুপারিশ করার জন্য আলাদাভাবে একটি সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে। কিন্তু ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য কোনো আলাদা কমিশন গঠন করা হয়নি। পরে যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে সেখানেও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনেও কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই।

 

‘সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কমিশনে বেশ কিছু লিখিত প্রস্তাবনা পাঠানোর পরও এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন তারা মনে করেননি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান বাংলাদেশের ১০ শতাংশের অধিক ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ও অংশীদারিত্বের বিষয়কে বিবেচনায় না নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। আমরা ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। এর মধ্য দিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান বৈষম্য ও নিপীড়নকে চ্যালেঞ্জ না করে তা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।’

তারা বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় জনমত গড়ে তোলাসহ নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত বিষয়: