জামায়াতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল এনসিপি
জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে এবং ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) জামায়াত এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য দেয়, তা নিয়ে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দলটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই মন্তব্যকে ‘অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসিপি জামায়াতের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দলটির দাবি, জামায়াতের বিবৃতি বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গত, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত ভিন্ন খাতে নেওয়ার সুস্পষ্ট চেষ্টা।
এনসিপির মতে, ৫ আগস্টের পর উদ্ভূত নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিপরীতে জামায়াত আবারও পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়—যা দেশের জন্য অশুভ বার্তা বহন করে।
এনসিপির দাবি, গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্সের (এনপিএ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রমাণনির্ভর যে মন্তব্য করেন, তা সম্পূর্ণ তথ্যসম্মত ও দায়িত্বশীল। কারণ ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি চালানো তুষার মণ্ডল যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী, তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে এবং অস্ত্র-গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করা সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর নিন্দনীয় অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এনসিপি আরও জানায়, সহিংসতা, অস্ত্রনির্ভরতা ও ধর্মের অপব্যবহার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থি। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য। জামায়াতকে সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।



























