রোববার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাটহাজারীতে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

হাটহাজারীতে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদ্রাসা) নিয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গির ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুন্নি ও কওমী আকিদার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ২০ জনকে জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন ১৪৪ ধারা জারি করেন। এর পর রাত ১১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের যৌথ টহল শুরু হয়েছে।

রাত দেড়টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কান্তি মজুমদার জানান, এখন পর্যন্ত ১০৭ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তাদের সবাই হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কেউ নেই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য ২০ জনকে চমেকে রেফার করা হয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবক আরিয়ান ইব্রাহিম (২০) হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে অবমাননাকর ভঙ্গিতে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কওমী মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ পৌর সদর থেকে ইব্রাহিমকে আটক করে। আটক ইব্রাহিম ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চান। তবে ফেসবুক আইডিতে নিজেকে পৌর ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিলেও, ফটিকছড়ি পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি একরাম উল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, “সে ছাত্রদলের কেউ নয়।” তিনি প্রশাসনের কাছে যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে রাতে হাটহাজারী নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা পর্যন্ত হাটহাজারী উপজেলার মীরের হাট থেকে এগারো মাইল সাবস্টেশন এবং উপজেলা গেট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ, গণজমায়েত ও ৫ জনের বেশি মানুষের অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়: