শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মেহেরপুর প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ২৪ মে ২০২৫

মেহেরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

মেহেরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
সংগৃহীত

মেহেরপুর জেলা সদরের আমঝুপি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

 

শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ১১টা থেকে শুরু করে কয়েক দফায় সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

 

দলীয় কোন্দল ও সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের সমর্থকদের সঙ্গে মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

 

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, জেলার আমঝুপি ইউনিয়নে দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করার সময় আমিসহ আমার ১৪-১৫ জন নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় আমার মাইক্রোবাস সহ ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আহতরা মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কয়েকজন নেতাকর্মীকে কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ সন্ত্রাসী হামলার নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম।

 

এদিকে সাইফুল ইসলাম জানান, তড়িঘড়ি করে আওয়ামী লীগের লোকজনদের ৫১ সদস্য কমিটিতে ঠাঁই দিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের বাড়িতে গোপনে কমিটি করে নাম মাত্র সম্মেলন করার চেষ্টা করছিল। আমরা দলের পরিক্ষিত নেতা, আমাদের বাদ দিয়ে তারা এই কমিটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। এর জেরে আমরা আমঝুপিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিলাম। সেখানে তারা হামলা করে। তখন আমাদের এক ছাত্র নেতার হাত ভেঙে যায়।

 

মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ বলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের কর্মী সমর্থকরা দলীয় প্রতিটি কাজে বাঁধা প্রদান করে যাচ্ছেন। সব বাধা পেরিয়ে আমরা দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ইউনিয়নগুলোতে কাউন্সিল করছি। আমঝুপিতেও তার সমর্থক সাইফুল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমাদের সদস্য সচিবসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।

 

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়: