মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

নীলফামারী প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৭ জুন ২০২৫

মামলা থেকে বৈষম্যবিরোধী নেতার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ!

মামলা থেকে বৈষম্যবিরোধী নেতার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ!
সংগৃহীত

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে মাদরাসাছাত্র শাহরিয়ার শিশিরের (২৪) ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ফয়সাল মোস্তাকের নামে মামলা নিতে পুলিশি অনাগ্রহ এবং থানার ওসি হাসান জাহিদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও ঝাড়ুমিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দা।

 

সোমবার (১৬জুন) উপজেলা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে শতাধিক নারী–পুরুষ এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে ঝাড়ু হাতে মিছিল নিয়ে থানার প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করেন তারা।

 

মানববন্ধনে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আহত শাহরিয়ার শিশিরের বাবা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান, সেতাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নওশাদ আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেদওয়ানুল কারীম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াদ চৌধুরি প্রমুখ।

 

তারা বলেন, গত ৯ জুন সেতাবগঞ্জ চিনিকল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে শিশির পরিকল্পিতভাবে হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ফয়সাল মোস্তাকের অনুসারী। তার নির্দেশেই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু থানায় মামলা করতে গেলে ওসি অভিযুক্তদের নাম বাদ দিতে চাপ দেন।

 

বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার এজাহারভুক্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি। অথচ সবাই এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারা অভিযোগ তোলেন, ওসি সন্ত্রাসীদের রক্ষা করছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র ফয়সাল মোস্তাক বলেন, এখানে নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে। এলাকায় যাই ঘটুক, সব কিছুর দায়ভার আমার কাঁধে চাপানো হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে, এই এলাকায় জন্মগ্রহণ করাটাই আমার পাপ ছিল।

 

তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।

 

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ৯ জুন শাহরিয়ার শিশিরের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

 

ওসি আরও বলেন, এখানে দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন করেছে। তবে পুলিশ কোনো পক্ষের কথা শুনে নয়, আইন অনুযায়ী কাজ করে।

সম্পর্কিত বিষয়: