জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধরা। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। এখনো আগুন জ্বলছে। তবে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে আসছে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে কল করা হলে ডিউটি অফিসার জানান, তারা খবর পেয়েছেন সাড়ে ৭টার দিকে। জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইন থেকে একটি কল পান। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুনের খবর দেন। কিছুক্ষণ পর আবার সেই ব্যক্তি জানান, আগুন নিভে গেছে। ফলে তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসছে।
জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ খবর ছড়িযে পড়লে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সেখানে ছুটে যায়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতারকমীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। েএক পর্যাযে গণ অধিকারের নেতাকর্মীরা ও উত্তেজিত জনতা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে, হামলা চালায় এবং একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে ছুটে যায়। কার্যালয়ের নিরাপত্তায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে মিছিল করে জাতীয় পার্টি। মিছিল থেকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এই সরকারের দায়িত্ব হলো নিরাপত্তা দেওয়া। মব বন্ধ করা। কিন্তু সরকার তা করছে না। বাংলাদেশে জাতীয় পার্টি ছিল, আগামীতেও থাকবে।
সম্প্রতি জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা হামলা ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালিয়েছিল। খবর পেয়ে পরে পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। এরপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নেতা, সাবেক ডাকসু ভিপি নূর সেনাবাহিনী ও পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন।