রোববার ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজীপুর প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১০ আগস্ট ২০২৫

শ্রীপুরে চেতনানাশক খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

শ্রীপুরে চেতনানাশক খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ
সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে চেতনানাশক খাইয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের মড়লপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে চারজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

অভিযুক্তরা হলেন, মোড়লপাড়া গ্রামের শামসুল হুদার ছেলে শফিকুল ইসলাম হায়দার, মৃত সামসুদ্দিন মোড়লের ছেলে জসীম উদ্দীন (৩০), মো. রুবেল মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (২৫) ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমেদ (২০)। এদের মধ্যে বাবুল মিয়া শিশুটির চাচাতো ভাই ও শফিকুল ইসলাম হায়দার তার কাকা।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত ১৫ দিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে বৃষ্টির কারণে একটি দোকানে আশ্রয় নেয় সে। সেখানে অভিযুক্তরা কোল্ড ড্রিংকে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পুরো ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে এই ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে শিশুটিকে একাধিকবার গণধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। ভয়ে শিশুটি প্রথমে পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু অভিযুক্তরা ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে সম্প্রতি ভুক্তভোগীর ভাইয়ের নজরে আসে। পরে পুরো ঘটনা পরিবারকে খুলে বলে শিশুটি।

ভুক্তভোগী শিশু বলেন, সেভেনআপ খাওয়ার পর থেকেই আমার আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফেরার পর জঙ্গলে নিজেকে উলঙ্গ অবস্থায় পাই। তখন দেখি একজন ভিডিও করছিল। কেন করছে জানতে চাইলে সে বলেছিল, তুই যদি এরপর আমাদের কাছে না আসস, তাহলে তোর বাবা-মাকে দেখাব, তারা ফাঁস নিয়ে মারা যাবে। এ সময় আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার আকুতি করলেও তারা কেউ শুনেনি।

ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, আমরা নিম্নবিত্ত পরিবার বলে এত নিকৃষ্ট ঘটনার পরও এলাকার কারও সহযোগিতা পাচ্ছি না। উল্টো ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার বোনের জন্য সঠিক বিচার চাই। এমন নৃশংস ঘটনা যেন আর কোনো মেয়ের সঙ্গে না ঘটে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক (পিপিএম) বলেন, এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। শ্রীপুর থানা মামলা নং-১৯। আমার আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।

সম্পর্কিত বিষয়: