ভারতে যাচ্ছে ইলিশ, বাড়ছে দেশের বাজারে দাম
বাংলাদশ থেকে ভারতে রপ্তানির কারণে ঢাকার বাজারে বাড়ছে ইলিশের দাম যা প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ইলিশের দাম ছিল চড়া। এরইমধ্যে নতুন করে দাম বাড়ানোর কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে জাতীয় ইলিশ মাছের দাম।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বাজারে এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশের দাম এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা। যা দুদিন আগেও ছিল এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া একদম ছোট সাইজের ইলিশ (২০০-২৫০ গ্রাম প্রতিটি) আগে ৫০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হলেও এখন ৭০০ টাকার নিচে মিলছে না।
বাংলাদশ থেকে ভারতে রপ্তানির কারণে ঢাকার বাজারে বাড়ছে ইলিশের দাম যা প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ইলিশের দাম ছিল চড়া। এরইমধ্যে নতুন করে দাম বাড়ানোর কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে জাতীয় ইলিশ মাছের দাম।
বর্তমানে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। যা আগে ছিল এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা, যা আগে ছিল এক হাজার ২০০ টাকা।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের ইলিশের মোকামগুলোতে আকারভেদে মণপ্রতি ৮ থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। বাজারে ইলিশের দাম বেশি বলে সাধারণ ক্রেতারাও ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তা থেকে সরে এসে তারা ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এসব ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আরেক প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইলিশ কিনতে আসা জয়নাল নামের এক ক্রেতা গণমাধ্যমকে বলেন, নিজের দেশের ইলিশ আমাদের মুখে উঠছে না। এক কেজি ওজনের ইলিশের দামে ২ কেজি গরুর মাংস কেনা যায়। গতকাল ২৫ কেজি চাল কিনেছি এককেজি ইলিশের দামে। ফলে এ দাম নিশ্চয়ই স্বাভাবিক দাম বলা যায় না।
তিনি বলেন, এরপর সরকার কেন ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে, সেটা আমার মাথায় আসে না। নতুন সরকার সেই একই পথে হেঁটেছে, যা আগেও হয়েছে। এতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ হতাশ।