বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২.৫ শতাংশ, দুর্বল হয়েছে ডলার

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম হঠাৎ করেই উর্ধ্বমুখী হয়েছে। এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ৩ হাজার ৩১৭ ডলারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন ডলারের বিপরীতে দুর্বলতা, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি এবং ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সঙ্গে তার বৈরি সম্পর্ক—সব মিলিয়েই স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের বিমানবন্দরে হুতিদের হামলা এবং গাজায় স্থল অভিযানের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
পাশাপাশি, ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের ইঙ্গিতও আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ফেডের আগামী সভা অনুষ্ঠিত হবে ৭ মে। তবে সিএমই ফেডওয়াচ টুলের তথ্য অনুযায়ী, ওই সভায় সুদের হার কমার সম্ভাবনা মাত্র ৫.২ শতাংশ। জুন মাসে সেই সম্ভাবনা ৪৬.৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্লুমবার্গ জানায়, মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাইওয়ান ডলার ৫ শতাংশ পর্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে। এর পেছনে তাইওয়ানের নিজস্ব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কৌশল কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বর্ণ খনির ক্ষেত্রে বড় একটি চুক্তির খবরও এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সুটার গোল্ড ফিল্ডস তাদের বাজার স্থিতিশীল করতে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড রোড রিসোর্সেসকে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারে কিনতে রাজি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে স্বর্ণ একটি নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হচ্ছে। যদি সুদের হার বাড়ে, তবে মার্কিন অর্থনীতি আরও সংকুচিত হতে পারে, যার প্রভাবে মন্দা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে স্বর্ণের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।