জামায়াতের কোম্পানির ব্যালট দিয়ে কারচুপির পাঁয়তারা চলছে: শেখ সাদী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে আনা ব্যালট ব্যবহার করে প্রশাসন কারচুপির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মাওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী শেখ সাদি হাসান বলেন, *“নির্বাচন কমিশনার জামায়াতে ইসলামীর একটি অখ্যাত কোম্পানি থেকে ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন সংগ্রহ করেছেন। ছাত্রশিবিরকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ভোট গণনায় কারচুপির বিষয়টি প্রকাশ হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপে কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা বন্ধ করে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে একই কোম্পানির ব্যালট পেপার দিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”*
তিনি অভিযোগ করেন, *“ছাত্রশিবির আলাদাভাবে ব্যালট সংগ্রহ করে নীলনকশার মাধ্যমে কারচুপির চেষ্টা করছে। আমরা নতুন ব্যালট পেপারের দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু কমিশন তা মানেনি।”*
শেখ সাদি নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং শিবিরের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা বন্ধ করবে। তিনি আরও জানান, ক্যাম্পাসের আশেপাশে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের অবস্থান সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এদিকে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মোট আটটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে।
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে ১,৫০০ পুলিশ, সাত প্লাটুন বিজিবি ও পাঁচ প্লাটুন আনসার। এছাড়া ভেতরে ও বাইরে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।