রাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনার প্রস্তুতি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। তিন দশকেরও বেশি সময় পর আয়োজিত এ ভোটে শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর অংশগ্রহণে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোটগ্রহণ, এর পরই শুরু হয় গণনার প্রস্তুতি।
এর আগে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। রাবি ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল আনন্দঘন পরিবেশ; ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও হলে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটান। সারাদিনের পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন নির্বিঘ্ন রাখতে ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি মোড়, ভোটকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, যারা এখনো দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘ বিরতির পর রাকসু নির্বাচন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। অনেক শিক্ষার্থী জানান, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা পুনরায় ফিরে এসেছে।
তবে নির্বাচনকে ঘিরে কিছু বিচ্ছিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনা হয়েছে। উভয় সংগঠনের দাবি, কিছু হলে ভোটগ্রহণে অনিয়ম হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিরা বাধার মুখে পড়েছেন। যদিও কোনো প্যানেল এখনো পর্যন্ত নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়নি।