শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জবি প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ২৯ মে ২০২৫

নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার জবি অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম!

নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার জবি অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম!
সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগমকে জুলাইয়ের হত্যা চেষ্টা মামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জবি প্রশাসন।

 

বুধবার (২৮ মে) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে যথাযথ অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আটকে রাখে। পরবর্তীতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পুলিশের মাধ্যমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

 

সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক নিয়োগ, বিএনপি ও শিবিরপন্থী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নানাভাবে বরখাস্ত ও হেনস্তা এবং নানা অপকর্মে জড়িত থাকার খবর পাওয়া যায়।

 

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্তৃক হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বক্কর বলেন, 'জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী বাংলাদেশে দুই হাজার রক্তের উপর দাড়িয়ে স্বৈরাচারী দোসর দালালদের সাথে বিন্দু পরিমাণ ছাড় হবেন না। আওয়ামী আমলে ছাত্রদল-শিবির মতাদর্শ শিক্ষার্থীদের সাথে যে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, উনারা নিঃশ্চুপ ভূমিকা ও মদদ জমিয়ে ছিলেন। তার উপযুক্ত আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানায়।"

 

অভিযুক্ত মামলার বাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, 'এদের মত দলকানা শিক্ষকদের জন্য স্বৈরাচারী আমলে শিক্ষক সমাজ কলঙ্কিত হয়েছে। ওনি বলতো আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে তারা রাজাকার, আর যেহেতু ছাত্রদল-শিবির আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাই এরা রাজাকার, এদের গুলি করে মারা উচিৎ। ওনি পিএসসি এর সদস্য থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ ছাড়া কাওকে বিসিএস এর জন্য উত্তির্ন করতোনা। ওনার মতো আওয়ামী দোসরের সঠিক বিচার দাবী করছি। কারন ওনারা ছাত্রলীগের মাফিয়াদের পুলিশ প্রশাসনে নিযুক্ত করেছে এবং ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগকে টাকা দিয়ে ছাত্রদল সহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করিয়েছে। জুলাই আন্দোলনে ও শুনেছি ওনি ছাত্রলীগকে অনেক টাকা দিয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর গুলি করতে।"

 

জবির সাবেক অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, "সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ডাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি এবং এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।"

সম্পর্কিত বিষয়: