শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জবি প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ১৭ মে ২০২৫

জবিতে ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী

জবিতে ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী
সংগৃহীত

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত। 

শনিবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

এসময় তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা তুলনামূলকভাবে অপ্রতুল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার আদায় করে থাকে। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। গতকালই আমাদের আরেকটি সফল আণ্দোলনের সমাপ্তি হয়েছে। ছাত্র শিক্ষকদের এবারের আন্দোলনে আমাদের অভূতপূর্ব সফলতা পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, "অ্যালামনাইরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করছে। আশা করি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। কেন্দ্রীয়ভাবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।”

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন।

সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন বলেন, "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই আমরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। সে লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হলেও, তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আচরণের কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর অর্জিত গণতান্ত্রিক পরিবেশে আজ আমরা বিভাগের প্রথম অ্যালামনাই পুনর্মিলনীর আয়োজন করতে পেরেছি। এই পুনর্মিলনী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। তবে আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সরকারি কলেজগুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ বন্ধ এবং নতুন বিভাগ খোলা বন্ধ করার সেই ফ্যাসিবাদী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

এজন্য অ্যালামনাইদেরকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এদেশের কিছু স্বার্থান্বেষী মোল্লা-মৌলভি ফ্যাসিবাদীদের দালালি করে আলেম সমাজকে বিতর্কিত করেছে। আমাদেরকে এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে এবং সত্যিকারের ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।"

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়োজনীয়তা ও দায়িত্ব অনেক। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা ভবিষ্যতে দেশের মন্ত্রী, আমলা এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে হবে।"

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, "ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও নৈতিক উভয় দিক থেকেই এগিয়ে।"

এছাড়াও আরো বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হোসেন, উক্ত বিভাগের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ এবং অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকে ২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষের শাহীন মোল্লা।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. মুহাম্মদ ছালেহ উদ্দীন। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত, নাতে রাসুল ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনব্যাপী আয়োজন। ‘স্পন্দন’ নামক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। স্মৃতিচারণ, র্যা ফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হবে। এছাড়া, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক ও অ্যালামনাইবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ