মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

গোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৮ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই যুগ পূর্তি

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই যুগ পূর্তি
সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(গোবিপ্রবি) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের পর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ র্যালি বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। র্যালি শেষে আনন্দমুখর পরিবেশে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে কেক কাটা হয়। বেলা সাড়ে ১০টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসন উদ্দিন শেখর বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও মূলত ১৫ বছর ধরে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। যদিও এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিলো, নানা কারণে সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। তবে একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকে, সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা, আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে স্বনির্ভর কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড চালু হয়েছে, স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে বেস্ট টিচার এন্ড রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড চালু করা হবে। এভাবে একটু একটু করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ, হীনস্বার্থের ঊর্ধ্বে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থান দিয়ে সার্বিক উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাকে সমুন্নত রাখাটা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা যার যা দায়িত্ব সঠিকভাবে প্রতিপালন করলেই এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।

 

এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, বিরানভূমি থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ফুল ফুটেছে। একসময় শত ফুল ফুটবে। এই ফুল আমাদের শিক্ষার্থীরা। যে ফুলের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আমাদের যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, নিজেকে তৈরি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মজনুর রশিদের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম।

 

এ সময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. দিপংকর কুমার, বিজনেস স্টাডিস অনুষদের ডিন ড. মো. সোলাইমান হোসাইনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবন, প্রধান ফটক ও আবাসিক হলগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়।

সম্পর্কিত বিষয়: