মঙ্গলবার ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১২, ২১ অক্টোবর ২০২৫

১৫৫তম জন্মজয়ন্তী

অতুল প্রসাদ সেনকে গীতিময় শ্রদ্ধাঞ্জলি

অতুল প্রসাদ সেনকে গীতিময় শ্রদ্ধাঞ্জলি
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় এক অনন্য সুরের আসর বসে। সন্ধ্যা নামতেই নিস্তব্ধতা ভেদ করে মিলনায়তনে ভেসে আসে অতুল প্রসাদ সেনের অমর গান—প্রেম, ভক্তি ও দেশপ্রেমের এক অপরূপ মেলবন্ধন। বাংলা গানের পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম এই গীতিকবির ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান ‘আপন কাজে অচল হলে চলবে না রে, চলবে না’।

আয়োজনের পেছনে ছিল বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, যারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা সংগীতের ঐতিহ্যকে লালন করে আসছে। এবারের আয়োজনে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত নয়টি সংগঠনের শিল্পীরা অংশ নেন। তারা হলেন—সুরের ধারা, অভ্যুদয়, মহীরুহ, নিবেদন, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, গীতসুধা, গীত শতদল, গীতাঞ্জলি ও সংগীত ভবন। পরম শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠায় তারা পরিবেশন করেন অতুল প্রসাদ সেনের অমর সব সৃষ্টি।

শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চ যেন মুহূর্তেই রূপ নেয় অতুল প্রসাদের সুরলোকের এক আলোকময় জগতে। একেকটি গানে উঠে আসে কবির ভাবচেতনা—দেশপ্রেম, ভক্তি ও প্রেমের নিঃশব্দ আর্তি। কখনও ঈশ্বরের প্রতি নিবেদন, কখনও প্রিয়জন বা মাতৃভূমির প্রতি গভীর টান—সব মিলিয়ে প্রতিটি সুরে ধ্বনিত হয় মানুষের চিরন্তন অনুভব।

অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনা ও সংগীত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি ড. বিশ্বজিৎ রায়।

গানের সুধায় ভেসে দর্শক-শ্রোতারা ফিরে যান বাংলার সংগীতের শিকড়ে। অতুল প্রসাদ সেনের হাতে বাংলা গান পেয়েছিল এক নতুন মাত্রা—বাউল, খেয়াল ও ঠুমরির সুরমিশ্রণে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এক স্বকীয় ধারা। তাঁর গানে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া, তেমনি মিশে থাকে গভীর আত্মিকতা।

আগত দর্শক-শ্রোতারা বলেন, আজকের দিনে অতুল প্রসাদের গান শোনা মানে শুধু তাঁর নাম স্মরণ নয়, বরং সেই সুরকে নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়া। এই আয়োজন ঠিক সেই কাজটিই করেছে সার্থকভাবে—গানের মাধ্যমে, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: