সোমবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যা বললেন ট্রাম্প

ভারতের ওপর ফের শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা?

ভারতের ওপর ফের শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা?
সংগৃহীত

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় গত মাসে ভারতের ওপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে দেশটির ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফের ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর বিষয়ে একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর তার ঘণ্টা কয়েক পরই শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংক্ষিপ্ত জবাবে বলেন, “হ্যাঁ, আমি প্রস্তুত (আরও শুল্ক চাপানোর জন্য)”।
তবে এর বেশি বিস্তারিত ভাবে আর কিছু বলেননি মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের এই সংক্ষিপ্ত জবাবের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই স্কট বেসেন্ট ভারতের নাম না নিয়েই বলেছিলেন, রাশিয়ার থেকে যে সমস্ত দেশ তেল কিনবে, তাদের ওপর আরও শুল্ক চাপালে রাশিয়ার অর্থনীতিতে ধসে যাবে, তাতে রাশিয়া আরও চাপে পড়বে এবং এর জেরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য হবেন। 
প্রসঙ্গত, এর আগে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছিল, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে বলেই এই শাস্তিমূলক শুল্ক চাপানো হয়েছে। কারণ ভারত রশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে বলেই পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ পাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে রোববার বেসেন্ট বলেন, “আমরা এখন একটা প্রতিযোগিতায় আছি, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী কতক্ষণ টিকতে পারবে বনাম রাশিয়ার অর্থনীতি কতক্ষণ টিকতে পারবে? যদি আমেরিকা এবং ইইউ একযোগে রাশিয়ান তেল কেনা দেশগুলোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা, আরও পরোক্ষ শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাহলে রাশিয়ার অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়বে। তাহলে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসবেন।”
বেসেন্ট আরও বলেন, “রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের ইউরোপীয় পার্টনারদের সেই পথ অনুসরণ করা উচিত।”
এই বক্তব্য দেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থমন্ত্রী কোনও দেশের নাম না করলেও বর্তমানে রাশিয়ার থেকে সবথেকে বেশি তেল কেনা দেশগুলোর মধ্যে চীন এবং ভারত রয়েছে। যদিও তালিকায় চীন রয়েছে ভারতের ওপরে।
তবে চীনের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে আমেরিকা। আর বেসেন্টের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্পের সেই সংক্ষিপ্ত জবাব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ