নীরব বিশ্বের সমালোচনায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও সরব হয়েছেন গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডকে ‘ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তাকেও তীব্র সমালোচনা করেছেন।
রয়া নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক দীর্ঘ পোস্টে জোলি জাতিসংঘের তথ্য তুলে ধরেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়— গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জোলি লিখেছেন, “এত নিরীহ প্রাণ আর মানবাধিকার নীতিকে এভাবে উপেক্ষা করা হৃদয়বিদারক। বিশ্ব যেন বেছে নিচ্ছে— কার জীবন মূল্যবান, আর কারা অমূল্য হয়ে ফেলে দেয়া যাবে।”
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করে জোলি বলেন, স্থায়ী সদস্যরা রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে ঠিক করে নিচ্ছে কোন দেশকে সমালোচনা করবে আর কোন দেশকে সমর্থন করবে। অথচ বাস্তবে সুদান, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনসহ কোটি কোটি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তার মতে, এগুলো কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ঘটানো হচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, “আজকের নিষ্ক্রিয়তা ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে সাধারণ মানুষ আরও বেশি ঝুঁকির মুখে পড়বে— ক্ষুধা, হাসপাতাল বা স্কুলে হামলা কিংবা অন্য যেকোনো সহিংসতার শিকার হয়ে।”
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতে, যারা মানবাধিকার রক্ষায় ক্ষমতাবান অথচ নীরব থেকেছে, তারাও সমানভাবে দায়ী। তার ভাষায়, “আমরা যা সহ্য করি, শেষ পর্যন্ত তাই আমাদের পরিচয় হয়ে দাঁড়ায়।”