রোববার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছেলের চেয়ে ছোট তরুণের সঙ্গে নতুন জীবনে মা

ছেলের চেয়ে ছোট তরুণের সঙ্গে নতুন জীবনে মা
ছবি: সংগৃহীত

জাপানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে এক অপ্রত্যাশিত প্রেমকাহিনি। ৬৩ বছরের আজারাশি বিয়ে করেছেন মাত্র ৩১ বছরের এক তরুণকে—যিনি বয়সে তার একমাত্র ছেলের চেয়েও ছোট।

২০২০ সালের এক দুপুরে টোকিওর একটি ছোট্ট ক্যাফেতে তাদের প্রথম দেখা। তখনো দু’জনেই জানতেন না, এই কাকতালীয় মুহূর্ত একদিন জীবনের বাঁক বদলে দেবে। এক সপ্তাহ পর হঠাৎ আবার দেখা, তারপর আলাপ, ফোন নম্বর বিনিময় আর দীর্ঘ সময় ধরে টেলিফোনে কথোপকথন—এভাবেই গড়ে ওঠে তাদের ঘনিষ্ঠতা।

আজারাশির জীবনের পথচলা সহজ ছিল না। দুই দশক সংসার করার পর ৪৮ বছর বয়সে বিচ্ছেদ, তারপর একা হাতে ছেলেকে বড় করা। দিন কেটেছে ব্যবসা আর পোষা কুকুরের সঙ্গেই। মাঝেমধ্যে ডেটিং অ্যাপে চেষ্টা করলেও সম্পর্ক কখনো বিয়েতে গড়ায়নি।

কিন্তু এই তরুণের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর সবকিছুই যেন বদলে যায়। আজারাশি বলেন, “আমি যা-ই বলতাম, সে মনোযোগ দিয়ে শুনত, বোঝার চেষ্টা করত। তার সেই আন্তরিকতা আমাকে স্পর্শ করেছিল।”

তাদের প্রকৃত বয়স জানাজানি হয় মাত্র এক মাসের মধ্যেই। অবাক করার মতো বিষয় হলো—আজারাশির ছেলে শুরু থেকেই মায়ের সম্পর্ককে সমর্থন করে। তবে তরুণটির মা প্রথমে রাজি ছিলেন না, কারণ বয়সে তিনি নিজেই আজারাশির চেয়ে ছোট। শেষ পর্যন্ত ছেলের দৃঢ়তায় মন পরিবর্তন করেন তিনি।

২০২২ সালে আজারাশি ও ওই তরুণ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এখন তারা দু’জনে মিলে একটি ম্যারেজ এজেন্সি চালাচ্ছেন এবং সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সম্পর্ককে ঘিরে চলছে নানান প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, এটি ভালোবাসার নির্মল উদাহরণ, আবার কেউ বয়সের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

তবে জাপানে এটাই প্রথম নয়। এর আগে আলোড়ন তুলেছিল আরেক সম্পর্ক—২৩ বছরের এক যুবক প্রেমে পড়েছিলেন তার সহপাঠীর ৮৩ বছর বয়সী দাদির প্রতি। প্রথম দেখাতেই জন্ম নেয় আকর্ষণ, পরে ডিজনিল্যান্ড ভ্রমণের সময় সেই সম্পর্ক দৃঢ় হয়। আজ তারা একসঙ্গে বসবাস করছেন।

সম্পর্কিত বিষয়: