বুধবার ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ২২ অক্টোবর ২০২৫

‘শারীরিক সম্পর্ক’ মানেই ধর্ষণ নয়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়

‘শারীরিক সম্পর্ক’ মানেই ধর্ষণ নয়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়
ছবি: সংগৃহীত

আইনের কঠিন মানদণ্ডে আবেগ বা অনুভূতির কোনো স্থান নেই; সেখানে বিচার হয় কেবল প্রমাণের ভিত্তিতে। এই কঠিন সত্যকেই আবারও সামনে এনে এক যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে— শুধুমাত্র ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি উচ্চারণ করলেই তা ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে না, কারণ আইনগতভাবে এই শব্দের নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা অপরিহার্য।

বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরি-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ গত ১৭ অক্টোবর এক ব্যক্তিকে খালাস দেন, যিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে নিম্ন আদালতে ১০ বছরের সাজা পেয়েছিলেন।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, মামলায় অভিযোগকারী কিশোরী ও তার অভিভাবকরা কেবল অস্পষ্টভাবে ‘শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সেই সম্পর্কের প্রকৃতি, প্রেক্ষাপট বা বিস্তারিত বর্ণনা দেননি।

হাইকোর্টের মতে, এভাবে অস্পষ্টভাবে বলা ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি আইনগতভাবে ধর্ষণ প্রমাণের মানদণ্ডে পড়ে না। আদালত আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) বা পকসো (POCSO) আইনে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটির কোনো সংজ্ঞা নেই; ফলে এর অর্থ ও পরিধি বিচার প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট করা অপরিহার্য।

বিচারপতি ওহরি আরও মন্তব্য করেন, শিশু সাক্ষীর বক্তব্য অসম্পূর্ণ থাকলে আদালতের দায়িত্ব প্রশ্নের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা— আদালত কোনো অবস্থাতেই নির্বিকার থাকতে পারে না।

আইনজীবীরা মনে করছেন, এই রায় যৌন অপরাধ সংক্রান্ত মামলায় প্রমাণের মানদণ্ডকে আরও শক্তিশালী করবে, এবং সমাজে প্রচলিত শব্দের আইনি ব্যাখ্যা যে প্রায়ই ভিন্ন— সেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি প্রতিষ্ঠিত করবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: