বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব বাঁশ দিবস। ঘাস পরিবারের বৃহত্তম এই সদস্য শুধু প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবন, সংস্কৃতি ও শিল্পের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িত।


বিশ্ব বাঁশ দিবসের সূচনা

বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পের উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় **বিশ্ব বাঁশ সংস্থা**। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেসে সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালামের প্রস্তাবে ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ সেপ্টেম্বরকে **বিশ্ব বাঁশ দিবস** হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

পরিবেশবান্ধব সবুজ সোনা

বাঁশকে বলা হয় সবুজ সোনা। এটি পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম। বাঁশ বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর গভীর ও শক্তিশালী শিকড় মাটির ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব

অর্থনৈতিকভাবে বাঁশ একটি অমূল্য সম্পদ।

  •  নির্মাণসামগ্রী, আসবাবপত্র ও কাগজ উৎপাদনে
  •  বস্ত্রশিল্প, বাদ্যযন্ত্র ও নানান হস্তশিল্প তৈরিতে

  বাঁশের ব্যবহার অপরিসীম। এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বাঁশ একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলেছে।

বাংলাদেশে বাঁশ

বাংলাদেশে ঘরবাড়ি নির্মাণ, চাটাই, ঝুড়ি, আসবাব ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তৈরিতে যুগ যুগ ধরে বাঁশ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, বাঁশ প্রজাতির বৈচিত্র্যের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। দেশে প্রায় ৩৩ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাঁশ চাষ ও বাঁশজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। সঠিক পরিকল্পনা, আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী নকশা প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাঁশ শিল্প শুধু দেশের চাহিদা পূরণই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে পারে। এতে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনি পরিবেশ সুরক্ষাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।