গণঅভ্যুত্থানে শহীদ শিশুদের স্মৃতি নিয়ে লেখা প্রকাশের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের লেখা ও স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে কিশোর মাসিক পত্রিকা ‘নবারুণ’-এর একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নিতে তিনি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বুধবার রাজধানীর তথ্য ভবনে ডিএফপি প্রকাশিত কিশোর মাসিক পত্রিকা ‘নবারুণ’-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নবারুণ’ পত্রিকা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি ও লেখা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করতে হবে। এতে তাদের সৃজনশীলতা বিকশিত হবে এবং তারা আরও অনুপ্রাণিত হবে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “যে সরকারই দায়িত্বে আসুক না কেন, শিশু-কিশোরদের বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকা উচিত।” তিনি ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের আর্থ-সামাজিক নানা বিষয়ে লেখালিখির জন্য লেখকদের প্রতি আহ্বান জানান।
‘নবারুণ’ পত্রিকার ১৯৭০ সাল থেকে প্রকাশিত সব সংখ্যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখার তাগিদ দেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, “অনলাইনে পুরনো সংখ্যা পড়ার সুযোগ থাকলে পাঠকরা সমৃদ্ধ হতে পারবেন।”
পত্রিকার কলেবর বাড়ানো এবং নতুন লেখকদের জন্য আলাদা বিভাগ চালুর পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রতি সংখ্যায় কমপক্ষে পাঁচজন নতুন লেখকের লেখা প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি শিশু-সাহিত্যিকদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যেসব লেখক ৪০-৫০ বছর ধরে লিখছেন, তাঁদের লেখা ‘নবারুণ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। এতে পত্রিকা আরো সমৃদ্ধ হবে। তিনি ‘নবারুণ’ পত্রিকার লেখক-সম্মানি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম। সভার শুরুতে ‘নবারুণ’ পত্রিকা বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন পত্রিকার সম্পাদক ইসরাত জাহান। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সিনিয়র সম্পাদক শাহিদা সুলতানা।
সভায় উপস্থিত লেখকেরা ‘নবারুণ’-কে একটি সাহসী ও ব্যতিক্রমী পত্রিকা হিসেবে অভিহিত করে এর মানোন্নয়নে নানা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।