শ্রীপুরে র্যাবকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে র্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ করে মারধর, গাড়ি ভাংচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার ১৭২ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে র্যাব-১। এ ঘটনায় একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও দুই নারীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১ ।
আজ সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন র্যাব-১ উত্তরা অফিসের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. জাফর ইকবাল।
হামলায় আহত র্যাব সদস্যরা হলেন, সোহাগ হোসেন (২৮), গোলাম মোর্শেদ (২৭), সোহবান আলী (৪০) ও মাহবুব (২৮)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শাখাওয়াত হোসেন (২৩), সাব্বির হোসেন (২০), মাহমুদুল হাসান (২৫), আরাফাত হোসেন আকিব(২৩), শফিজুল হক (২৮), মো. সাগর (২৩), মো. মাসুদ (৪৮) মোফাজ্জল (২৭), মো. মারুফ (১৮), শাহজাহান (৪২), আবুবক্কর সিদ্দিক (২৫), সাহেব আলী (৫৫), মোছাঃ আঞ্জুমান (২১), মোছাঃ স্মৃতি (২৮)।
র্যাবের দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে র্যাবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেনের দোকানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। পরবর্তীতে র্যাব-১ এর একটি দল বরমী ইউনিয়নের বরামা চৌরাস্তা এলাকায় পলাতক মোশাররফ হোসেনের দোকানে তল্লাশি করে। এসময় একটি বিদেশী পিস্তল পায় র্যাব। এর পরপরই র্যাব তাকে হাতকড়া পরিয়ে র্যাবের গাড়িতে তুলে। গাড়িতে তোলার পরপরই অভিযুক্তরা আশপাশের মানুষকে জরো করে র্যাবের দুটি গাড়ি অবরুদ্ধ করে ফেলে। মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয় অভিযুক্ত মোশাররফকে। এরপর দফায় দফায় হামলা চালিয়ে র্যাবের গাড়ি ভাংচুর চালায়। এসময় র্যাবের চার সদস্য আহত হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে র্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই রাতভর অভিযান পরিচালনা করে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, র্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ রেখে মারধর করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৪ জন আসামিকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে অবরুদ্ধ হয় র্যাব-১। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।