ব্যারিস্টার মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান
ঠাকুরগাঁওয়ের ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের নতুন দিগন্তের স্বপ্নদ্রষ্টা

ঠাকুরগাঁও-৩ (রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জ) সংসদীয় আসনের জনগণের মাঝে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান। ১৯৭০ সালে রাণীশংকৈলের গোগর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এই কৃতি সন্তান, হাজী আব্দুল মজিদের সুযোগ্য পুত্র। ছোটবেলা থেকেই মানুষের প্রতি তার ছিল গভীর টান, যা তাকে জনসেবার পথে অনুপ্রাণিত করেছে।
শিক্ষাজীবনে মেধা ও সাফল্যের দৃষ্টান্ত: ব্যারিস্টার রুকুনুজ্জামান তার শিক্ষাজীবনে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি ধাপে। ছাত্রজীবনের শুরুতেই ১৯৮০ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় দিনাজপুর জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর ১৯৮৬ সালে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে লেটার মার্কসসহ উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী ওল্ড গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষাতেও তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। পরবর্তীতে, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ো-কেমিস্ট্রিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
আইন পেশায় উচ্চশিক্ষা ও মানুষের ভালোবাসা: পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণ এবং মানুষের সেবার মহান ব্রত নিয়ে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইনশাস্ত্রে অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর লন্ডনের খ্যাতনামা লিংকন’স ইন (Honourable Society of Lincoln's Inn) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ‘বার-এট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করে `ব্যারিস্টার‘ উপাধিতে ভূষিত হন। ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সলিসিটর ফার্মে সফলতার সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞতার এক বিশাল ভাণ্ডার অর্জন করেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্যারিস্টার'স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি হিসেবে দীর্ঘ সময় সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
লন্ডনের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা, এলাকার উন্নয়ন ও ছোটবেলার স্বপ্ন তাকে মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনে। ‘বার-এট-ল’ ডিগ্রি শেষ করে ২০০৬ সালে দেশে ফিরলে তাকে এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে এক রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাণীশংকৈল এবং পীরগঞ্জবাসীর হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসে তাকে ভালোবাসায় বরণ করে নেন, যার কারণে ওই উপজেলার হাইওয়ের রাস্তায় দীর্ঘ চার-পাঁচ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে এবং এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে ব্যারিস্টার রোকন ২০০৯ সালে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আইন পেশা শুরু করেন। সময়ের পরিক্রমায় তিনি নিজেকে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের স্বনামধন্য আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
দেশ ও দশের কল্যাণে অটল সৈনিক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় সেখান থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনৈতিক দর্শন ও নীতিকে বুকে ধারণ করে জিয়ার আদর্শের এক সৈনিক হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখে আপামর জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
আইনজীবী হিসেবে তার সুনাম সর্বজনবিদিত। তিনি বর্তমানে দেশের শীর্ষ ও খ্যাতনামা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো; যেমন— বাংলাদেশ ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংকের মতো অনেক ব্যাংকের ‘লিগ্যাল অ্যাডভাইজার’ হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি দেশের স্বার্থে পদ্মা ব্যাংকের একজন পরিচালক হিসেবেও সফলভাবে কাজ করছেন।
তিনি আইনের জগতে কেবল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক কাজেই থেমে থাকেননি; ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই বিপ্লব’-এর পর দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পাচার অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ফাইন্যান্সিয়াল মাফিয়া এস. আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পাচার অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তার এই সাফল্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এ ছাড়া তিনি জনস্বার্থে বিভিন্ন সময়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট (Public Interest Litigation) পিটিশন দায়ের করেন।
হাজী আব্দুল মজিদ ফাউন্ডেশন’, স্বপ্ন পূরণের সারথি: ২০২১ সালে তিনি নিজ উদ্যোগে তার বাবার নামে ‘হাজী আব্দুল মজিদ ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এলাকার দরিদ্র, অবহেলিত, শিক্ষাবঞ্চিত ও বেকার যুবকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বিভিন্ন পদক্ষেপ, যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ এবং দরিদ্রদের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসায় সহায়তার মতো অসংখ্য সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ তিনি নিজ অর্থায়নে চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি, রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জবাসীকে নিয়ে তার আয়োজিত ‘গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের স্বপ্ন: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জকে একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন ব্যারিস্টার রুকুনুজ্জামান। তার দৃঢ় বিশ্বাস, কর্ম এবং অক্লান্ত পরিশ্রম মানুষকে কখনো বিফল করে না। ‘Justice for All; Development for Everybody’– এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি সবার জন্য ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। এলাকার জনগণ তাকে একজন সৎ, শিক্ষিত, মেধাবী ব্যারিস্টার এবং তরুণ নেতা হিসেবে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কান্ডারি মনে করেন। রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জবাসীর বিশ্বাস, ব্যারিস্টার রুকুনুজ্জামানের মতো যোগ্য নেতৃত্ব পেলে এই অঞ্চলের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কোনো অসৎ শক্তি থামাতে পারবে না, কারণ ‘সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা কখনো ব্যর্থ হয় না’।
কেন নির্বাচন করতে চান: অতীতের অপ্রতুল উন্নয়ন এবং এলাকার সামগ্রিক পিছিয়ে পড়া পরিস্থিতিই ব্যারিস্টার মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামানকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর এবং প্রায় স্থবির। এলাকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে, তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এবং বেকারত্ব দূর করতে তিনি একটি সুপরিকল্পিত ও আধুনিক উদ্যোগ নিতে চান।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে একজন ব্যারিস্টার জনগণের নেতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার ব্যারিস্টার হিসেবে তিনিই প্রথম যিনি জনগণের জন্য নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে এসেছেন। জনগণ তার মতো একজন শিক্ষিত, সৎ, তরুণ ও স্মার্ট নেতৃত্বকে পাশে চায়, যার মাধ্যমে এলাকার সঠিক উন্নয়ন সম্ভব। ব্যারিস্টার রুকুনুজ্জামান এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে এক আস্থার নাম। তিনি নিঃস্বার্থভাবে দিনের পর দিন কাজ করে চলেছেন এবং এলাকার সকল মানুষ তার কাছে গিয়ে উপকার পেয়েছেন।
তার মূল লক্ষ্য হলো রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জকে একটি আধুনিক এবং উন্নত জীবনযাত্রার উপযোগী এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি চান এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপদ পরিবেশ পায়। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি নিজেকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে প্রস্তুত এবং বিশ্বাস করেন যে সঠিক নেতৃত্ব ও জনগণের সম্মিলিত সমর্থন থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।