বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ববি জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের শোক
আপোষহীন দেশনেত্রী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ১১জন শিক্ষক।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১জন শিক্ষক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গভীর শোক প্রকাশ করেন। যদিও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের আলাদা কোন ফোরাম নেই। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদীমনা কিছু শিক্ষক সাদা দল তৈরির চেষ্টা করলেও সেটা আনুষ্ঠানিক কোন রূপ পায়নি।
শোক বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আজ নীরব হয়ে গেল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইননা ইলাইহি রাজিউন। এক মহাকালের সমাপ্তি। জাতি হারালো এক দৃঢ়চেতা ও সাহসী নেতৃত্বকে, যিনি নিপীড়ন, নির্যাতন সহ্য করেও আজীবন লড়েছেন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমরা শোকাহত।
চল্লিশোর্ধ্ব রাজনৈতিক জীবনকালে ছিলেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, গণমানুষের অধিকারে সর্বদাই জাগ্রত। বিনয়ী, তবে ন্যায়ের প্রশ্নে অনমনীয়, আপোসহীন। চারিত্রিক এই দৃঢ়তা তাঁকে, বাংলাদেশকে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নিয়েছে অন্য উচ্চতায়। দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে নারী শিক্ষার প্রসারে, নারীর ক্ষমতায়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন বাংলাদেশের এই প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
রাজনৈতিক শিষ্টাচারে সমকালে তাঁর সমান্তরালে কেউ নেই। প্রতিপক্ষের বাক্যবাণে আক্রান্ত হয়েছেন, আক্রমণ করেননি। গণতন্ত্রের প্রতি, গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্নে শেষদিন পর্যন্ত ছিলেন অবিচল। বিশেষ করে ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ এর ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে ছিলেন বাতিঘর। এই অস্থির সময়ে পুরো জাতি যার পেছনে এক হয়েছিলো, তিনিই বেগম খালেদা জিয়া। তার শূন্যস্থান কবে পূরণ হবে তা কেবল মহাকালই নির্ধারণ করবে।
আমরা এই মহীয়সীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বিনম্র শ্রদ্ধা তাঁর জীবন, কর্ম এবং স্মৃতির প্রতি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি রইলো গভীর সমবেদনা। একই সাথে তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী ও অনুসারীদের প্রতিও সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিবৃতি প্রদানকারী ১১ জন শিক্ষক হলেন- ড. আবদুল আলিম বছির, সহযোগী অধ্যাপক,জনাব মো: মেহেদী হাসান সোহাগ, সহযোগী অধ্যাপক, ড. গাজী জহিরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক,ড. মোহাম্মদ মাহফুজ আলম, সহযোগী অধ্যাপক, ড. মো: সাদেকুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক,ড. ফেরদৌসী জামান তনু, সহযোগী অধ্যাপক,জনাব রিজওয়ানা ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক,ড. মো: আরিফ উল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক,জনাব শাহাদাৎ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক,জনাব তাসনিম যেরিন, সহকারী অধ্যাপক,ড. গাজী মো: সাখাওয়াত হোসেন, প্রভাষক।



























