শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ১৭ মে ২০২৫

আ.লীগ কর্মী এখন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী

আ.লীগ কর্মী এখন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী
সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী হারুনুর রশিদ এবার বিএনপির ওয়ার্ড কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১৮ মে) উপজেলার মিল্লাত একাডেমিতে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এ ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, এর আগে ১২ মে হারুনের প্রার্থীতা বাতিলের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, কমলনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের, সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী ও যুগ্ম আহ্বায়ক দিদার হোসেনের কাছে দেওয়া হয়।

অভিযোগে হারুনকে আওয়ামী লীগ নেতা উল্লেখ করা হলেও তার কোনো পদ-পদবি নিশ্চিত করা হয়নি। আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার কোনো ছবি বা ভিডিও দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হারুন হাজিরহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিল। বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় ছিলেন। সরকার পতনের পর তিনি এখন বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন।

জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগে উল্লেখ করেন, হারুন গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভোট করেছে। এমপি আব্দুল্লাহর মনোনীত কমলনগর উপজেলা খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকও হন তিনি। এখন আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হারুনুর রশিদ বলেন, আমি কখনো আওয়ামী লীগ করিনি। আমার বিরুদ্ধে হিংসাত্মকভাবে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়েও আমি কখনো যাইনি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি অভিযোগকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।

কমলনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের বলেন, অভিযোগটি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন বিএনপিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় হারুন যে আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় ছিলেন সে ধরনের প্রমাণ দেখাতে বলা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারী এখনো তা দেখাতে পারেননি। যদি দেখাতে পারেন তাহলে হারুনের প্রার্থীতা বাতিল করে দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ