"চার দফা দাবিতে,প্রশাসনিক ভবনে তালা দিল,জবি শিক্ষার্থীরা"

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘বৈষম্যমূলক’ বাজেট বরাদ্দের নীতির প্রতিবাদ, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবিতে ভিসি ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এর আগে দুপুরে রফিক ভবনের নিচে একত্রিত হয়ে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের নিচে এসে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। তারা এসিতে বসে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, অথচ আমাদের ভাই-বোনেরা দিনে একবেলা খেয়ে কোনোমতে টিকে আছে। এভাবে আর চলতে পারে না। যদি আমাদের প্রাপ্য অধিকার না দেওয়া হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা না করে বন্ধ করে দিন, কিংবা আমাদের উপযুক্ত আবাসন ভাতা ও অন্যান্য মৌলিক সুবিধা দিন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, এর আগেও আমরা বহু আন্দোলন করেছি। আন্দোলনের ফলেই ধূপখোলা মাঠ পেয়েছি, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পেয়েছি, ছাত্রী হল পেয়েছি। সবকিছু যদি আন্দোলনেই পেতে হয়, তবে এবারও দেখিয়ে দেব জবিয়ানরা কী করতে পারে। আমাদের ধৈর্যের সীমা ইতোমধ্যে পার হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো—১.
বাজেটে বৈষম্য দূরীকরণ,
২. পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা, ৩.দ্রুত হল নির্মাণ এ ৪.শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা।
আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, যুগ যুগ ধরে জবিয়ানরা বৈষম্যের শিকার। প্রশাসনের উচিত ছিল এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। কিন্ত তারা তা করেনি। আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে ঘোষণা করতে চাই যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেও আপনারা আমাদের দাবি মেনে না নেন তাহলে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। পরবর্তীতে যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের দায়ভার দিতে পারবেন না। আপনাদের ভালোই ভালোই বলছি আমাদের এই দাবি মেনে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, চার দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। কিন্তু প্রশাসনের ঘাফিলতির কারণে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দাবি আদায়ে আগামী সপ্তাহে আমরা লং মার্চ করার সিদ্ধান্তে নিয়েছি।
এ সময় সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।