গাজা যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি : ইসরায়েলের সেনাপ্রধান
হামাস যতদিন পর্যন্ত সব ইসরাইলি জিম্মির লাশ ফেরত না দেবে, ততদিন পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানী জেরুজালেমে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পদমর্যাদার ইউনিট কমান্ডারদের সম্মেলনে এ কথা বলেন ইয়াল জামির।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আমরা একটা পবিত্র মিশনে আছি এবং এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য দু’টি— গাজা নিহত সব ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা এবং হামাসের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখা।'
তিনি বলেন, ‘আইডিএফ অতীতকে কাঁধে নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকায়। যা আমাদের নৈতিক ও পেশাগত কর্তব্য, আমরা অবশ্যই তা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করব।'
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। হামাসের এ হামলার জবাবে পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। আইডিএফের অভিযানে দুই বছরে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের অধিক।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পেশ করেন। ইসরাইল এবং হামাস সেই পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়।
ট্রাম্পের ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত পরিকল্পনাটি তিন স্তরের। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম স্তরে জীবিত সব ইসরাইলি জিম্মি ও মৃত জিম্মিদের লাশ হস্তান্তর করবে হামাস।
সেই শর্ত অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত নিজেদের কব্জায় থাকা জীবিত ২০ জন জিম্মির সবাইকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তবে সমস্যা শুরু হয়েছে মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া নিয়ে।
হামাসের ভাষ্য অনুযায়ী, ২৮ জন ইসরাইলি জিম্মি মারা গেছেন এবং তাদের সবার মরদেহ কোথায় আছে, তা গোষ্ঠীটির বর্তমান হাইকমান্ড জানে না। গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, যারা এই তথ্য জানত— তারা আইডিএফের অভিযানের সময় নিহত হয়েছে।



























