শুক্রবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৭৫ জন নিহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৭৫ জন নিহত
সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণে একদিনে অন্তত আরও ৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল গাজা সিটিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজা সিটি পরিণত হয়েছে ‘আতঙ্কের নগরীতে’। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) শহরটিকে ইতোমধ্যেই এভাবেই আখ্যা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাল আল-হাওয়া এলাকায় একটি তাঁবুতে বিমান হামলায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা সিটির জেইতুন, সাবরা, তুফাহ, নাসর ও শুজাইয়া এলাকা। তুফাহ পাড়ায় অন্তত আটজন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্স মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল। শুজাইয়ার একটি আবাসিক ভবনে হামলায় দুইজন এবং জেইতুনে আল-ঘাফ পরিবারের তিনজন নিহত হন।

শেখ রাদওয়ান এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ঘরবাড়ি ট্যাংক দিয়ে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা, তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আল-শিফা হাসপাতালে লাশের সারি পড়েছে, স্বজন হারানো মানুষজন আহাজারি করছেন।

ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার যোগাযোগ কর্মকর্তা টেস ইনগ্রাম জানিয়েছেন, প্রায় ১০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছেন এই ‘ভয়, পালানো ও জানাজায় ভরা নগরীতে’।

ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, তারা এখন গাজা সিটির ৪০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং অভিযান আরও জোরদার করবে। স্যাটেলাইট চিত্রে জেইতুন এলাকায় অন্তত ৫২টি সামরিক যান মোতায়েনের প্রমাণ মিলেছে।

গাজা সিটি থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া মানুষদের দক্ষিণেও দুর্দশার শেষ নেই। খান ইউনিসে আশ্রিত গর্ভবতী নারী শুরুক আবু ঈদ বলেন, “কোনও গোপনীয়তা নেই, শান্তিও নেই।”

বৃহস্পতিবার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় নিহত হন সাতজন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু। রাফাহতে ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপরও গুলি চালায় সেনারা, এতে সাতজন নিহত হন।

শুক্রবার ভোর থেকে টানা বিমান ও স্থল হামলায় গোটা গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৫ জন।

সম্পর্কিত বিষয়: