যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা!

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ফেডারেল আদালতে মামলা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসির অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শোয়ালব এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে ন্যাশনাল গার্ড ও অন্যান্য সেনা মোতায়েন মার্কিন সংবিধান ও একাধিক ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছে। আদালতের কাছে এই মোতায়েন বন্ধে আদেশ চাওয়া হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শোয়ালব বলেন, “আমেরিকার মাটিতে নাগরিকদের ওপর সশস্ত্র সেনাদের পুলিশি দায়িত্ব দেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার একটি বিপজ্জনক সম্প্রসারণ, যা সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।”
এর আগে, গত ১১ আগস্ট ট্রাম্পের নির্দেশে প্রায় আড়াই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য ওয়াশিংটনে মোতায়েন করা হয়। এর অধিকাংশই রিপাবলিকান সমর্থিত ছয়টি অঙ্গরাজ্য থেকে আনা হয়। সেনাদের অস্ত্র বহন ও গ্রেফতারের ক্ষমতাও দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ওয়াশিংটন ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশকে সরাসরি ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে সিদ্ধান্তটি দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের অধীনে থাকা ওয়াশিংটন ডিসির ক্ষেত্রে সেনা মোতায়েন নতুন আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল শোয়ালব আরও বলেন, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় সেনা মোতায়েন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও মৌলিক স্বাধীনতার ওপর সামরিক হস্তক্ষেপের শামিল, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
এই মামলা শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক নীতির বৈধতা নিয়েই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি ও নাগরিক অধিকার রক্ষার প্রশ্নেও নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এখন আদালত সেনা মোতায়েনের বৈধতা যাচাই করবে।