সরকার আসলে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে : মাসুদ কামাল

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, ‘আসলে মাহফুজ আলমকে আমি কখনোই বিচ্ছিন্ন কোনো ব্যক্তি হিসেবে দেখি না। তিনি সরকারেরই অংশ, সরকারের একটি মুখ। এই সরকার মানুষের মধ্যে ভয় ছড়াতে চাইছে, বলছে ‘১/১১ আসছে’, তাই তোমরা আমাদের সাপোর্ট দাও। এটা এক ধরনের ভয় দেখানোর কৌশল।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আবার তা মুছে দেওয়া, এটা বড় কথা না। বড় কথা হলো, তিনি কী ভাবছেন, সেটাই আসল। তার পোস্টের মাধ্যমে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
মাসুদ কামালের মতে, অনেক কিছু ভাবা হলেও সামাজিক কারণে প্রকাশ করা হয় না।
কী করা হলো বা না করা হলো, সেটা মুখ্য নয়, নিয়তটাই আসল। মনের ভেতরে কী ভাবা হচ্ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। একটি বেসরকারি চ্যানেলের টক শোতে এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
মাসুদ কামাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একবার সবার কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন।
এটা একটা এনজিও মানসিকতা। উপদেষ্টা বলছেন, আমি করিনি, কিন্তু আপনার দলের কেউ তো করেছে। তাকে আপনি চিহ্নিত করেছেন? শাস্তি দিয়েছেন? দেননি। তার মানে, আপনি নিজেই দায়ী। এই হচ্ছে মানসিকতা।
সরকার ভয় দেখিয়ে বলে, আমি ছাড়া বিকল্প নেই। আমি বিএনপি বা এনসিপিকে এককভাবে দায়ী করি না। সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করছে এই সরকার নিজেই, সুকৌশলে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এনসিপিদের একমাত্র ভুল হলো, মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ভুল ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া। এই একজন মানুষ পুরো এনসিপিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বুঝতেও পারেনি কিভাবে ধ্বংস হলো, কারণ তারা তাকে বিশ্বাস করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘রিয়াদের একটা বক্তব্য পড়েছিলাম, সে বলেছে, আমি গরিবের সন্তান, হঠাৎ এত টাকা দেখে মাথা গরম হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কারা তাকে এত টাকা দিল? ধনীরাও প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা দেয় না তাদের সন্তানদের। কারণ তারা চায় না সন্তানরা বখে যাক। কিন্তু যখন কাউকে হাতে ধরে টাকা দেওয়া হয়, তখন মাথা গরম হতেই পারে।’
মাসুদ কামাল বলেন, ‘এই কাজটা কে করেছে? সরকারই করেছে। এনসিপিদের প্রতি আমার মায়া লাগে। কারণ আমি জানি, দোষটা তাদের একার না।’