রোববার ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৮ আগস্ট ২০২৫

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান
সংগৃহীত

নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকাকে ঘিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যে উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে, সেটিকেও দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছে সংগঠনটি।

 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেখানে তথ্যপ্রকাশ, মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত এক বছরে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।”

 

দৈনিক জনকণ্ঠ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ওই পত্রিকার কার্যালয় ও পোর্টালে ‘মব’ তৈরি করে উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ ও দাবি আদায়ের চেষ্টা হয়েছে। নোয়াবের মতে, কর্মীদের কোনো দেনা-পাওনার বিষয় থাকলে তা শ্রম আদালতের মাধ্যমে, আর সংবাদ বা কনটেন্ট-সংক্রান্ত কোনো বিরোধ হলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার কথা। কিন্তু এসব আইনগত প্রক্রিয়া এড়িয়ে সরাসরি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

 

টিআইবির তথ্য উদ্ধৃত করে নোয়াব জানায়, গত এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন, এর মধ্যে ২৬৬ জনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মীকে পদচ্যুত করা হয়েছে, ৮টি সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং ১১টি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

সংগঠনটি বলেছে, কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে ‘মব’ সৃষ্টি করে মালিকপক্ষকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিতকে আরও মজবুত করবে বলে নোয়াব বিশ্বাস করে।