সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ডিআরইউ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বহিরাগতদের হামলায় সৃষ্টি হয়েছে উত্তপ্ত ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও অতিথি হামলার শিকার হন।
হামলাকারীরা নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের উপর চড়াও হয়। তারা সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন) ও সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান-সহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
হামলার সময় ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মান্নান মারুফ, সদস্য আসিফ শওকত কল্লোল ও সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদসহ কয়েকজন সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “ডিআরইউ একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় কেউ বাধা দিতে পারে না। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা বরদাশত করব না।”
ডিআরইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানকে ঘিরে হামলার পূর্বাভাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া গিয়েছিল। বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে, তারা সকাল থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিল। তবে হঠাৎ করেই কিছু বহিরাগত ভেতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। ডিআরইউ সদস্যদের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ এসে অবরুদ্ধ অতিথিদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়।
ডিআরইউ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, “এই প্ল্যাটফর্ম সব সময় দল-মত নির্বিশেষে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করে এসেছে। অতীতে গণআন্দোলনের সময়েও এই ঐতিহ্য বজায় ছিল।”
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডিআরইউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।