শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ছবি: সংগৃহীত

অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা ও ভাটি বাংলার প্রাণপুরুষ শাহ আবদুল করিমের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর)। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবে দারিদ্র ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বেড়ে ওঠা শাহ আবদুল করিম ছেলেবেলা থেকেই সঙ্গীত সাধনা শুরু করেন। জীবনের বড় প্রেরণা ছিলেন তার স্ত্রী, যাকে তিনি স্নেহভরে ডাকতেন ‘সরলা’।

ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ ও দুদ্দু শাহের দর্শন থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া এই বাউল শিল্পী কৃষিকাজের পাশাপাশি গান রচনা অব্যাহত রাখেন। সাধক রশীদ উদ্দীন ও শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশের কাছ থেকে তিনি বাউল গানের দীক্ষা নেন। শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ নানা শাখার গান রচনা করেছেন তিনি।

তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না’, ‘ঝিলঝিল ঝিলঝিল করেরে ময়ুরপঙ্খী নাও’, ‘কেমনে ভুলিবো আমি’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’* ইত্যাদি। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে।

এ পর্যন্ত তার লেখা গানের ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয় তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস)। এছাড়া গবেষক সুমনকুমার দাশের সম্পাদনা ও রচনায় প্রকাশিত হয়েছে একাধিক জীবনীগ্রন্থ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয় ‘শাহ আবদুল করিম : জীবন ও গান’, যা এখন একটি প্রামাণ্য জীবনী হিসেবে স্বীকৃত।

২০০১ সালে শাহ আবদুল করিম একুশে পদকে ভূষিত হন। তাকে নিয়ে শাকুর মজিদ নির্মাণ করেন প্রামাণ্যচিত্র ‘ভাটির পুরুষ’ এবং নাটক ‘মহাজনের নাও’ মঞ্চস্থ করে সুবচন নাট্য সংসদ।