বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ১৮ জুন ২০২৫

আওয়ামী লীগ নেতা কামাল খান গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগ নেতা কামাল খান গ্রেপ্তার
সংগৃহীত

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় থেকে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কামাল খানকে আটক করেছে ছাত্র-জনতা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

 

বুধবার (১৮ জুন) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক।

 

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর কামাল খানকে গত বছরের (২০২৪) জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখেয়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

জানা গেছে, কামাল খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি ছাত্রলীগের ‘শোভন-রাব্বানী’ কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। পরে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ পান তিনি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে নীলক্ষেত মোড়ে শিক্ষার্থীরা হঠাৎ কামাল খানকে চিনে ফেলেন। এরপর তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করেন ছাত্রজনতার কয়েকজন সদস্য। পরে কামাল খানকে নিউমার্কেট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কামাল খানের বিরুদ্ধে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তা ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সায়েন্সল্যাব মোড়ে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হামলার ঘটনায় দায়ের করা। ওই দিনের কর্মসূচিতে অস্ত্রধারী একদল হামলাকারী শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে।

 

এ ঘটনায় মেহেদী হাসান (২২) নামের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই ঘটনায় রানা, আশিকুল হক, আল-আমিন, শাকিল মাহমুদ, মমিন উল্লাহ, শামীম, মারুফ, শফিকুর ব্যাপারী, নাহিদ হাসান, ফয়সাল বিন মনির, আজাহার ও শহিদুল ইসলাম শান্তসহ অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা-কর্মী গাড়িভর্তি হয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং গাড়ি থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাদের অনুসারীদের হাতে তুলে দেয়। এরপর তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুলি ছোড়ে এবং আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় ‘অজ্ঞাতনামা’সহ ১০০ জনের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সম্পর্কিত বিষয়: