শনিবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:১০, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখান চবি শিবিরের

জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখান চবি শিবিরের
সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে এমপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে চবি ছাত্রশিবির।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়— সিরাজুল ইসলাম ভোটের আশায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘অহংকারী ও অপমানজনক’ ভাষায় বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্য প্রকৃত সন্ত্রাসীদের আড়াল করার পাশাপাশি স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়ার সমতুল্য।

এতে আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসের আশপাশে শান্তি বজায় রাখা, কটেজ ও বাসাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতে স্থানীয়দের অনুরোধে সভায় উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক। তবে তিনি বক্তব্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিষয়ে যথাযথ তথ্য তুলে ধরতে না পারায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।

চবি ছাত্রশিবির জানায়, অফিস সম্পাদক হাবিবউল্লাহ খালেদের বক্তব্যে শুধু বহিরাগত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ফুটে উঠলেও স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসেনি। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া ও ছাত্রদলের নেতারা এ ঘটনায় জড়িত থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, এই ঘটনায় যারা সরাসরি নির্দেশ, উসকানি ও আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের সবাইকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

উল্লেখ্য, জোবরা গ্রামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন,‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের ওপর। আমরা এই জায়গার মালিক, তাই অন্যায় কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তবে আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
 

সম্পর্কিত বিষয়: