বুধবার ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ৫ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে নির্বাচনে সহায়তা বন্ধের আহ্বান আওয়ামী লীগের

জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে নির্বাচনে সহায়তা বন্ধের আহ্বান আওয়ামী লীগের
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়’ এমন নির্বাচনে সহযোগিতা থেকে সরে আসতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগগ। দলটির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকায় যাদের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

শনিবার ঢাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বরাবর পাঠানো চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়। দলের পক্ষে চিঠিটি পাঠিয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

ওই চিঠিতে বলা হয়, “অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা জাতিসংঘ এবং ইউএনডিপির প্রতি নির্বাচনি সহযোগিতা স্থগিতের, সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে জাতীয় সংলাপ ও সমঝোতাকে উৎসাহিত করার এবং যে কোনো নির্বাচনি সম্পৃক্ততার মূলভিত্তি হিসাবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”

‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনি সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ সনদের নিরপেক্ষতা, রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং মৌলিক অধিকারের মূলনীতি লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ’ শীর্ষক চিঠিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনি সহযোগিতা, ব্যালট প্রজেক্ট এবং আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার বিষয়ে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলকও নয়, বিশ্বাসযোগ্যও নয়।

“এই ধরনের সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের মূলনীতি এবং অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসারের ক্ষেত্রে ইউএনডিপির ম্যান্ডেট লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে।”

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য’ নির্বাচনের পরিবেশের দাবি নিয়ে জাতিসংঘে উদ্বেগ জানানো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার অভিযোগ রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন করে সেই ব্যবস্থাই বাতিল করে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সে অনুযায়ী ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। এর মধ্যে দশম ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী রাজনৈতিক দল। তাদের বর্জনের ফলে দশম নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়ে যান। সেই সংসদকে ‘বিনা ভোটের সংসদ’ আখ্যা দেয় ভোট বর্জন করা বিএনপি।

সূত্র: সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

জনপ্রিয়