পতিতাবৃত্তির অভিযোগে জামায়াতের সভাপতি বহিষ্কার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিজ বাড়িতে পতিতাবৃত্তি পরিচালনা ও পতিতাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. হালিমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ রোকন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে পৌর ও উপজেলা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মো. শহীদুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ রোকন বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মো. শহীদুল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নানসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা শেষে মো. আ. হালিমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জামায়াত নেতারা জানান, সংগঠনের নীতিমালা ও আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দল কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে বলেও তারা জানান।
কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ রোকন বৈঠক ডেকে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী করতে হলে অবশ্যই সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন ও দলীয় নীতিমালা মেনে চলতে হবে।”
এদিকে বহিষ্কৃত নেতা মো. হালিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বাসায় ছয়টি পরিবারকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে মা-মেয়ে পরিচয়ে চারজন মহিলা প্রায় দুই মাস আগে বাসা ভাড়া নেয়। তারা কোথায় যায় বা কী কাজ করে, তা জানার দায়িত্ব আমার নয়। আমাকে কোনো ব্যাখ্যা নেওয়া ছাড়াই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করব।”



























