বুধবার ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

বরিশাল প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ১৯ আগস্ট ২০২৫

বরিশালে স্বাস্থ্য সংস্কার আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগ কর্মী আটক

বরিশালে স্বাস্থ্য সংস্কার আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগ কর্মী আটক
সংগৃহীত

বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলন থেকে সুহান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। 


মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল নগর ভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।


এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর ভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে উত্থাপিত তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুসারে নগর ভবনের সামনে কর্মসূচি শুরু করলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এসে আন্দোলনকর্মী সুহানকে আটক করে নিয়ে যায়। তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ সদস্যরা নিয়ে গেছে।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি বলেন, সুহান নামে একজন আন্দোলনকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে যে নিপীড়ন হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ এনে মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র আসামি ও অজ্ঞাত ৮০ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিউদ্দিন রনির নেতৃত্বে অজ্ঞাত আসামিরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। ধারাবাহিকতায় রোববার রনির নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন-২ এর ডা. দিলিপ রায়ের পথরোধ করে বেধড়কভাবে মারধর করে। ঘটনাস্থলের পাশে দাঁড়ানো ছিল বাদী বাহাদুর। এ সময় মহিউদ্দিন রনির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করে। এছাড়াও এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করেছে। তাদের কবল থেকে রক্ষায় কতিপয় কর্মচারী এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। এ সময় আসামিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে রোগীদের স্বজনসহ কয়েকজন কর্মচারীকেও রক্তাক্ত জখম করেছে। আসামিরা হাসপাতালের কর্মচারীদের রাস্তায় পেলে খুন জখমের হুমকি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে মহিউদ্দিন রনিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন ওয়ার্ড মাস্টার জুয়েল চন্দ্র শীল। তবে সেই মামলা গ্রহন করেনি পুলিশ।

 

সম্পর্কিত বিষয়: