জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

এবারের নির্বাচনে শিবির প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে জয় লাভ করে উল্লেখযোগ্য প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেছে, তবে কেন্দ্রীয় উপ-সভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেলের প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বিজয়ী হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন।

কেন্দ্রীয় পদে বিজয়ীরা:

ভিপি (উপ-সভাপতি): আব্দুর রশিদ জিতু (স্বতন্ত্র), জিএস (সাধারণ সম্পাদক): মোঃ মাজহারুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), এজিএস (পুরুষ): ফেরদৌস আল হাসান (শিবির প্যানেল), এজিএস (নারী): আয়েশা সিদ্দীকা মেঘলা (শিবির প্যানেল)।

সেক্রেটারিয়েট পদে বিজয়ীরা:

শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক: আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির), পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ শাফায়েত মীর (শিবির), সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক: মোঃ জাহিদুল ইসলাম (শিবির), সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র) / আলী জাকি শাহরিয়ার (শিবির) (চূড়ান্ত তথ্য স্পষ্ট নয়), সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মোঃ রায়হান উদ্দীন (শিবির), নাট্য সম্পাদক: মোঃ রুহুল ইসলাম (শিবির), ক্রীড়া সম্পাদক: মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী): ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ): মোঃ মাহাদী হাসান (শিবির), তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক: মোঃ রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক: আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক (নারী): নিগার সুলতানা (শিবির), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক (পুরুষ): মোঃ তৌহিদ হাসান (শিবির), স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক: হুসনী মোবারক (শিবির), পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক: মোঃ তানভীর রহমান (শিবির)।

কার্যকরী সদস্য (পুরুষ):

মোঃ তরিকুল ইসলাম (শিবির), মোঃ আবু তালহা (শিবির), মোঃ মহসিন (শিবির)।

কার্যকরী সদস্য (নারী):

নাবিলা বিনতে হারুণ (শিবির),
ফাবলিহা জাহান (শিবির), নুসরাত জাহান ইমা (শিবির)।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ শিবির প্যানেলের ব্যাপক বিজয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও, অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এবং বিজয়কে গণতান্ত্রিক চেতনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে।