হাদির মৃত্যুতে উত্তাল জাবি, বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে হাদির রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করার শপথ নেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
বিক্ষোভে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু), বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাতীয় ছাত্রশক্তি, আধিপত্যবাদবিরোধী মঞ্চসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘গোলামী না আজাদী, আজাদী-আজাদী’, ‘ভারতের আগ্রাসন ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ’, ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি-হাদি’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না’, ‘হাদি ভাই মরলো কেনো, ইন্টেরিম জবাব দে’ এবং ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি ঘরে ঘরে’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, “আমরা অনেক সহ্য করেছি, আর করব না। এবার আমরা প্রতিরোধ করব। হাদি ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজ আমরা সম্পন্ন করব।”
এসময় জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “হাদিকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে—এমনটা তারা ভেবেছে। কিন্তু আমরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসব না। শরিফ ওসমান হাদির রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
এদিকে সমাপনী বক্তব্যে জাকসুর ভিপি আবদুর রশিদ জিতু বলেন, “আমাদের দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলে কোনো আধিপত্যবাদী থাবা পড়তে দেওয়া হবে না। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
সমাবেশ শেষে জাকসুর ভিপি আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার নিশ্চিত এবং তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের শপথ নেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত বাংলাদেশ সময় ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদি মৃত্যুবরণ করেন।



























