তরুণ বয়স থেকেই আমি অনুসন্ধানকারী: তামান্না ভাটিয়া

ভারতের ‘মিল্ক বিউটি’খ্যাত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া—শরীরি সৌন্দর্য কিংবা নাচের হিল্লোল, নানা ভঙ্গিতে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন তিনি। কখনো কাজের জন্য, কখনো ব্যক্তিগত কারণে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেনও বটে। রুপালি ঝলমলে পর্দায় যিনি নক্ষত্রের মতো দীপ্ত, তিনি আসলে ভেতরে কেমন মানুষ? প্রেম, সাফল্য আর সমালোচনার ভিড়ে তিনি কি পান নিজের ভেতরের শান্তি?
সম্প্রতি এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে তামান্না নিজের সেই অচেনা দিকটিই উন্মোচন করলেন। বললেন, আধ্যাত্মিকতা তার জীবনে কীভাবে বদলে দিয়েছে সবকিছু।
এক প্রশ্নে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়—‘তামান্না ভাটিয়া আসলে কেমন?’ তিনি খানিক থেমে উত্তর দিলেন,
“তরুণ বয়স থেকেই আমি একজন অনুসন্ধানকারী। খুঁজে বেড়াই সবসময়। ভারত বরাবরই অনুসন্ধানের ভূমি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মের সঙ্গে এত ভুল ধারণা জড়িয়ে আছে যে আমরা আসল অভিপ্রায়টাই হারিয়ে ফেলি।”
তামান্না আরও বলেন, “কোনো সাহায্য ছাড়াই আনন্দে থাকতে পারি আমি। গত দুই-তিন বছরে যে সাধনা করেছি, তা আমার ভেতরে এক গভীর রূপান্তর এনেছে। এখন আমি বাইরের কিছুতেই নির্ভর করি না। সবসময় দারুণ উদ্দীপ্ত থাকি।”
তবে আধ্যাত্মিক মানুষ মানেই যে সন্ন্যাসী হতে হবে—এ ধারণা ভাঙলেন তিনি। তিনি বলেন, “মানুষ ভাবে, যারা আধ্যাত্মিক তারা উদাসীন, একঘেয়ে বা পালিয়ে বেড়ানো মানুষ। আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু একেবারেই উল্টো। আমার সাধনাগুলো আমাকে আরো উচ্চাকাঙ্ক্ষী করেছে, জীবনের প্রতি ক্ষুধার্ত করেছে, নতুন অভিজ্ঞতার জন্য উচ্ছ্বসিত করেছে।”
কিন্তু অভিনয়ে সেই উচ্ছ্বাসের ছাপ যেন মিলছে না। তামান্না অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘ওডেলা টু’ মুক্তি পায় গত ১৭ এপ্রিল। তেলেগু এই সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। বর্তমানে তিনি হিন্দি ভাষার চারটি সিনেমায় কাজ করছেন—‘রোমিও’, ‘রেঞ্জার’, ‘ভিভ্যান’ এবং নাম ঠিক না হওয়া আরেকটি ছবিতে।