সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি

জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি
ছবি: সংগৃহীত

চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ও টলমলে অর্থনীতি—এই দুটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। সোমবার প্রকাশিত একাধিক জনমত জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।

আসাহি শিম্বুনের জরিপ অনুযায়ী, তাকাইচির মন্ত্রিসভার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৬৯ শতাংশ নাগরিক। অন্যদিকে, মাত্র ১৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

একই প্রবণতা দেখা গেছে কিয়োডো নিউজ পরিচালিত আরেক জরিপেও। সেখানে সরকারের প্রতি সমর্থনের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ; বিপরীতে সমর্থন করেননি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

গত ২১ অক্টোবর জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৬৪ বছর বয়সী তাকাইচি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন মাত্র দুই থেকে চার ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে ভোর ৩টায় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন তাকাইচি—যা তার কর্মচাঞ্চল্যেরই প্রতিফলন।

এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপান সফরসহ মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় দুটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। এসব সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়।

তবে গত ৭ নভেম্বর পার্লামেন্টে তাইওয়ান নিয়ে দেওয়া তার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। চীন বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতিজনিত চাপ জাপানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে। তাকাইচির পূর্বসূরী ইশিবার পতনের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সোমবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ১৭ ট্রিলিয়ন ইয়েনের (প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলার) প্রণোদনা প্যাকেজ চূড়ান্ত করার কাজ চালাচ্ছে তাকাইচির সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের মধ্যেই এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে।

জনপ্রিয়