শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

যে কারণে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

যে কারণে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন একীভূত করে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হবে এমন প্রাথমিক উদ্যোগ থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারকরা। দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কোথায় হবে, সেই সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, মূলত ভবিষ্যৎ সরকারপ্রধানের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন বাসভবনের জন্য এখনও অনুসন্ধান চলমান।

৭ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। কমিটিতে স্থাপত্য অধিদপ্তর, সংসদ সচিবালয় এবং এসএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন।

কমিটি কয়েক দফা বৈঠক এবং স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন পরিদর্শন শেষে মূলত দুটি ভবন একীভূত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুটি ভবনের মধ্যে দুই স্তরবিশিষ্ট করিডোর নির্মাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করার কথা ছিল। এছাড়া এ-১ ও এ-২ বাসাকেও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহার করার প্রস্তাব ছিল।

তবে বাস্তবতা এবং নিরাপত্তার কারণে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্মাণের উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি বাসভবন সেই এলাকায় স্থাপিত হয়, তবে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নতুন বাসভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থার জন্য নতুন ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া এটি লুই আই কানের নকশার সঙ্গতিও হবে না।

সংসদ সচিবালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের মতো সংবেদনশীল স্থাপনার জন্য ঢাকা শহরে জুতসই স্থান পাওয়া খুবই মুশকিল। কারণ এক্ষেত্রে একই সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টিও সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। তাই খুব ভেবে ও যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংসদ ভবন এলাকা নিরাপত্তার জন্য কোনোভাবেই জুতসই হবে না। এখন সংসদ অধিবেশন নেই। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের সময় দুই মাস পরপর অধিবেশন বসবে। 

সংসদ অধিবেশনের সময় সংসদ-সদস্যরা ছাড়াও তাদের নির্বাচনি এলাকার লোকজন আসেন। তাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজনরাও এখানে থাকেন। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন। তাই সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য এই জায়গা বেছে নেওয়া ঠিক হবে না-এটা কমিটির সদস্যরাও উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এরকম একাধিক প্রস্তাব আলোচনায় থাকলেও বাস্তবায়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। 

গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গণমাধ্যমকে জানান, একাধিক বিকল্প নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

তিনি বলেন, আগামী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কোথায় হবে, সেটি ঠিক করবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আসা নতুন সরকার। বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা দেখভাল করছেন। তারাও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

সূত্র: যুগান্তর

জনপ্রিয়