শুক্রবার ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

খিলগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ৭ নভেম্বর ২০২৫

খিলগাঁওয়ে চাঁদা না পেয়ে সেলুন ব্যবসায়ীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা, গুরুতর আহত

খিলগাঁওয়ে চাঁদা না পেয়ে সেলুন ব্যবসায়ীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা, গুরুতর আহত
ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর খিলগাঁওয়ে চাঁদা না দেওয়ার কারণে এক সেলুন ব্যবসায়ীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

‎বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ২টার দিকে খিলগাঁও থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেরাদিয়া মধ্যপাড়ায় অবস্থিত ‘সাইফুল টু’ নামের একটি সেলুনে।

‎আহত নরসুন্দর মো. সিরাজ মিয়া (২৬) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় তার বড় ভাই মো. রফিক মিয়া (৪০) শুক্রবার রাতে খিলগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

‎অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় মো. আলমগীর (২৮), পিতা মৃত বারেক মিয়া, এবং তার সঙ্গে থাকা ৪–৫ জন অজ্ঞাত সহযোগী দীর্ঘদিন ধরে সিরাজের দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তারা একাধিকবার ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকিও দেন।

‎গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমগীর ও তার সহযোগীরা দলবদ্ধভাবে সেলুনে ঢুকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সিরাজ মিয়া চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। একপর্যায়ে পাশের দোকান থেকে ধারালো খুর এনে সিরাজের গলা ও বুকে আঘাত করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এতে তার পেটের খাদ্যনালী ও রগনালীতে গুরুতর জখম হয়।

‎চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত সিরাজকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

‎ঢাকা মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, রোগীর অবস্থা শুরুতে আশঙ্কাজনক ছিল। তবে বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

‎আহতের বড় ভাই রফিক মিয়া জানন, আমার ভাই সাধারণ একজন সেলুন ব্যবসায়ী। চাঁদা দিতে না পারায় ওরা তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এখনো আমরা আতঙ্কে আছি, কারণ তারা এলাকায় প্রভাবশালী।

‎অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

‎খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‎পাশের দোকানিরা জানান, ঘটনার সময় তারা চিৎকার শুনে ছুটে এসে সিরাজকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।

‎এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়