শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইডেন উপ-বিভাগে প্রকৌশলী রাকিবুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইডেন উপ-বিভাগে প্রকৌশলী রাকিবুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইডেন গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা। অভিযোগকারীরা দাবি করেন, গত ১১ বছর ধরে একই পদে থেকে তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা এবং টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

অভিযোগের মূল পয়েন্টগুলো

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ঠিকাদাররা রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

নিজেই ঠিকাদারি কার্যক্রম পরিচালনা

অভিযোগকারীদের দাবি, সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে তিনি নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প গ্রহণ, উপকরণ সরবরাহ এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে নিজের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের নামে কাজ নিয়ে বাস্তবে নিজেই তা পরিচালনা করতেন। এতে সরকারের বরাদ্দকৃত কয়েকশ কোটি টাকার কাজের স্বচ্ছতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।

টেন্ডার ও বিল প্রক্রিয়ায় কারসাজি

টেন্ডার যাচাই, কাজের মান নিরূপণ, উপকরণ অনুমোদন ও বিল পরিশোধ—প্রতিটি ধাপে ‘ঘুষ নেওয়া’ এবং ‘কমিশন নির্ধারণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। ঠিকাদাররা দাবি করেছেন, এসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হতো।

রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ

মানববন্ধনে বলা হয়, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের মাধ্যমে নিজের প্রভাব বজায় রেখে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির চেষ্টা করছেন।

ঠিকাদারদের ওপর চাপ প্রয়োগ

অভিযোগকারীরা বলেন, মাঠপর্যায়ের কাজ বণ্টন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত—সব জায়গায় তিনি চাপ প্রয়োগে অভ্যস্ত। নির্দেশ অমান্য করলে কাজ বন্ধ রাখা ও বিল আটকে দেওয়ার হুমকির কথাও মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা বিভাগ

ইডেন গণপূর্ত বিভাগ সচিবালয় এলাকার অফিস ভবন, রাস্তা, ড্রেনসহ বিভিন্ন স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কাজে দায়িত্ব পালন করে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো উল্লেখযোগ্য বিভাগীয় তদন্ত না হওয়ায় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তদন্তের দাবি

ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পুরো ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন। তারা বলেন, “রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক—যে কোনো প্রভাব বাদ দিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্তই পারে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে।”

জনপ্রিয়