জবিতে ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ঢাকা-৮ আসনের এমপি প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর রায়সাহেব বাজার হয়ে বিশ্বজিৎ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হামলার নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন। স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল-‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’,
‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব ন’,
‘আমার ভাই হাসপাতালে, ইন্টেরিম কি করে’,
‘সন্ত্রাস আর বাংলাদেশ, একসাথে চলে না’,
‘একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন’,
‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও–ঘুরিয়ে দাও’ ইত্যাদি।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দ্রুত বিচার দাবি করেন।
জবি শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ও ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’র জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন,
“৫ আগস্ট নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরদিনই এ ধরনের হামলা ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের ব্যর্থতার প্রমাণ। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত বিচার দাবি করছি।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং মাওলানা ভাসানী ব্রিগেডের জিএস পদপ্রার্থী ইভান তাহসীব বলেন, “আমরা ভাবতেও পারিনি দিনে দুপুরে একজন রাজনৈতিক নেতার ওপর এভাবে গুলি চালানো সম্ভব। পরিচিত রাজনৈতিক মুখ যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে?”
অদম্য জবিয়ান ঐক্যের ভিপি পদপ্রার্থী ও জবি শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “উসমান হাদিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায় ইন্টেরিম সরকারের। জুলাই আন্দোলনের পর অন্যতম দাবি ছিল জুলাই খুনিদের বিচার কার্যকর করা; কিন্তু সরকার তা করতে পারেনি। নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে একটি পক্ষ এসব কর্মকাণ্ড করছে—তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”



























