ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসন, ক্যাটাগরি পদ্ধতি বাতিলসহ উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আহতরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মহাসড়কের ফেনী ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সড়কের ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী লেনে দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যায় জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসন, ক্যাটাগরি পদ্ধতি বাতিলসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ফেনীর আহত আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা নানা ধরনের বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দেন। এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা সড়ক থেকে সরে দাঁড়ান।
অভ্যুত্থানে আহত নাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, অভ্যুত্থানের এতদিন পরেও উন্নত চিকিৎসার অভাবে আমাদের যোদ্ধারা শহীদ হচ্ছেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি চাই। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলেছে। এ আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। দাবি আদায় না হলে মহাসড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করা হবে।
আজিম নামে আরেক আহত শিক্ষার্থী বলেন, আমরা মানুষের ভোগান্তি হয় এমন কর্মসূচিতে যেতে চাই না। কিন্তু এতদিন পরে এসেও চিকিৎসার দাবিতে সড়কে নামতে হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশার। পুলিশ আলোচনার জন্য আমাদের সঙ্গে বসবে বলেছে। এসব দাবি না মানলে পরবর্তীতে আবারও আমরা রাস্তায় নামব।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়কে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।