আইওটি ও ক্লাউড প্রযুক্তিতে ব্যবসায়িক দক্ষতা বাড়াচ্ছে সার্ভিসিং২৪
দেশের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল থার্ড পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম) সার্ভিস প্রোভাইডার সার্ভিসিং২৪ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ও ক্লাউড প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত ও স্মার্ট অপারেশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেবা প্রদান করছে। আইওটি ডিভাইস ও ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের সংযোগের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের আইটি এবং ওটি সিস্টেমকে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও বাজেট-বান্ধব উপায়ে পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছেন।
সার্ভিসিং২৪-এর আইওটি ও ক্লাউড কনসালটেন্সি সেবার অন্যতম বড় সুবিধা হলো রিয়েল-টাইম তথ্য পাওয়া ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ। গ্রাহকরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে তাদের ডিভাইস ও সিস্টেমের ডাটা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে পারেন, ফলে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয় আরও দ্রুত ও নির্ভুল।
এছাড়া, প্রেডিক্টিভ মেইনটেন্যান্স ও স্বয়ংক্রিয় অপারেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আইওটি ডিভাইস থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে আগেভাগেই সম্ভাব্য সমস্যার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এতে করে অপ্রত্যাশিত ডাউনটাইম কমে আসে এবং অতিরিক্ত মেরামতের খরচও হ্রাস পায়।
খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়, যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ৬০–৭০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ সাশ্রয় করতে সক্ষম হচ্ছে।
তাছাড়া, সার্ভিসিং২৪-এর সেবা ব্যবসার চাহিদা পরিবর্তনের সঙ্গে সহজেই নতুন ডিভাইস ও সেবা সংযুক্ত করে, যা অপারেশনকে আরও গতিশীল করে তোলে।
সবশেষে, ডাটা নিরাপত্তা ও নিয়ম মেনে পরিচালনার ক্ষেত্রে সার্ভিসিং২৪ বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আধুনিক সিকিউরিটি প্রটোকল ও ক্লাউড-ভিত্তিক ডাটা ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সংবেদনশীল তথ্য থাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত।
এ প্রসঙ্গে সার্ভিসিং২৪ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “আমরা আইওটি ও ক্লাউড প্রযুক্তিকে কেবল প্রযুক্তিগত উন্নতি হিসেবে দেখছি না; এটি একটি কৌশলগত সমাধান যা আমাদের গ্রাহকদের জন্য ব্যবসায়িক কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং খরচ সাশ্রয় নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের সিস্টেমকে স্মার্ট, সংযুক্ত এবং দক্ষভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছেন।”
সব মিলিয়ে, সার্ভিসিং২৪-এর আইওটি ও ক্লাউড কনসালটেন্সি সেবা দেশের ব্যবসায়িক খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এই সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় আরও স্মার্ট, নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে সাহায্য করছে, যা ব্যবসার প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।



























