রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে লাখো মানুষ

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে লাখো মানুষ
ছবি: সংগৃহীত

অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সেন্ট্রাল লন্ডনে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নেমে আসে বিক্ষোভকারীদের ঢল। ডানপন্থি নেতা টমি রবিনসনের নেতৃত্বে আয়োজিত ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ শীর্ষক এই সমাবেশে পুলিশের হিসাব অনুযায়ী অংশ নেন প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ। এতে চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

অন্যদিকে, পাল্টা প্রতিরোধে রাস্তায় নামে অভিবাসীবান্ধব সংগঠন ও প্রগতিশীল শক্তিগুলো। ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ ব্যানারে আয়োজিত মিছিলে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় স্লোগান— “বর্ণবাদ নিপাত যাক, অভিবাসীদের মর্যাদা চাই।”

মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীরা একাধিকবার ব্যারিকেড ভেঙে পাল্টা মিছিলে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছনার শিকার হন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওয়েস্টমিনস্টারের বিভিন্ন সড়কে। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা, মাথায় ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচিত ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ টুপি। আয়োজক টমি রবিনসন একে অভিহিত করেন ‘বাকস্বাধীনতার উৎসব’ হিসেবে। এ সময় অনলাইনে বক্তব্য দেন মার্কিন ব্যবসায়ী ইলন মাস্কও।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে চরম ডানপন্থিদের এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ। তবে পাশাপাশি অভিবাসীবান্ধব ও প্রগতিশীল শক্তিগুলোর পাল্টা প্রতিরোধও ক্রমেই সুসংগঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসেও ছিল প্রাণবন্ত প্রতিবাদী র‍্যালি। ডকল্যান্ড এলাকায় শত শত মানুষ সমবেত হয়ে বর্ণবাদবিরোধী শ্লোগানে মুখরিত করেন চারপাশ। কমিউনিটি নেতারা ঘোষণা দেন— ব্রিটেনে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই, এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বহু সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের এই শহরে বর্ণবাদের কোনো ঠাঁই নেই—এ কথা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন বাংলাদেশি কমিউনিটির আন্দোলনকারীরা। তারা জানিয়ে দেন, বৈষম্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ অটুট, তাদের ঐক্য অবিচল।

সম্পর্কিত বিষয়: